নিজস্ব প্রতিবেদক, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি আরো শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। এই ঘুর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘হামুন’, যা ইরানি শব্দ। এর প্রভাবেই উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিও হচ্ছে। সমুদ্রবন্দরকে দেখানো হয়েছে চার নম্বর হুশিয়ারি সংকেত। মাছ ধরার ট্রলার ও জেলেদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।আমেরিকা ও ভারত আবহাওয়া গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণিঝড় ‘হামুন’ সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় বৃহস্পতবার চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তবে স্থলভাগে প্রবেশের সময় শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাত নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এ পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ০৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি.মি. পশ্চিম- দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (২ ৮৯ মি.মি.) বৃষ্টি হতে পারে।
চার নম্বর সর্তকতা সংকেত :
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাত নম্বর বিশেষ সর্তকবার্তায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হলো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ ফিরোজুর রহমান মোবাইল: 01947314055