আসলাম উদ্দিন, প্রতিবেদকঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ভোট গণনায় অনিয়ম ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস ও রাজধানীতে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টিএসসিতে ভোট গণনা প্রত্যক্ষ করতে গেলে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় প্রার্থীরা অবস্থান নিয়ে ‘ভোট চোর’ ও ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না’সহ নানা স্লোগান দেন। তাদের অভিযোগ, টিএসসির এলইডি স্ক্রিনে ব্যালট বাক্স দেখানো হচ্ছিল না এবং নির্বাচনী কারচুপি আড়াল করতে প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ঢুকতে দেয়নি। আধা ঘণ্টা পর প্রশাসন ফটক খুললেও প্রার্থীরা ‘কারচুপি ঢাকার চেষ্টা চলছে’ অভিযোগ তুলে ভেতরে প্রবেশ না করে চলে যান। এ ঘটনার পর থেকে টিএসসির এলইডি স্ক্রিন বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে, একইদিন বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদলের উদ্যোগে শোডাউন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল হয়ে কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন এবং ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদ জানান।
এদিন বিকেলেই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনেও। সেখানে চলমান মিটিংয়ে প্রবেশ করে ছাত্রদল নেতারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের মুখোমুখি হন। তারা অভিযোগ তোলেন, জামায়াত-শিবিরের বহিরাগতরা ক্যাম্পাসের আশপাশে জড়ো হয়েছে এবং প্রশাসন এ বিষয়ে নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব উপাচার্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ আখ্যা দিয়ে সহযোগিতা না করার ঘোষণা দেন।
প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং কখনো রাজনীতি করেননি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আশ্বাস দিলেও ছাত্রদল নেতারা তা মানতে নারাজ ছিলেন।
ডাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে নানা পক্ষের অভিযোগ, মিছিল ও মুখোমুখি অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাস এবং রাজধানীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ ফিরোজুর রহমান মোবাইল: 01947314055