নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা অন্তর্ভুক্ত গাড়িদহ ইউপিস্থ কালশীমাটি পাড়া গায়ের বাসিন্দা আব্দুল বাছেদ এর ছেলে মো: আলমগীর হোসেন বাদশা। অভিযোগ আছে তিনি একজন ভুয়া প্রানী চিকিৎসক। দীর্ঘ দিন যাবত তিনি লাইসেন্স বিহীন ভাবে ভুয়া সাইনবোর্ড ব্যবহার করে প্রানী চিকিৎসার নামে প্রানী সম্পদের ক্ষতি সাধন করছে।সেই সাথে সাধারণ মানুষের সাথে করছেন প্রতারণা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাদশা সম্ভবত ১৯৯২ সালে রাজশাহী যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পশু পালন ও রক্ষণাবেক্ষণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।তার পর থেকেই তিনি নিজকে অভিজ্ঞ প্রানী চিকিৎসক দাবী করে প্রানী সম্পদের ক্ষতি সাধন করার কাজে লিপ্ত হন।চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে করছেন প্রতারণা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান বাদশা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের গরুকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে গরু হত্যা করেছেন।উক্ত বিষয় নিয়ে এলাকায় কয়েক বার ঝামেলাও হয়েছে। তার পর বিষয় গুলো স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা হয়েছে।ভুয়া চিকিৎসক বাদশা কে তার অভিজ্ঞতার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান,১৯৯২ সালে তিনি রাজশাহী যুব উন্নয়ন থেকে প্রানী চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।বর্তমানে তার কাছে কোন সাটিফিকেট নেই।হঠাৎ করে সাটিফিকেট গুলো নষ্ট হয়ে গেছে।প্রশিক্ষণের স্মারক নাম্বার জানতে, চাইলে তিনি শেরপুর থানায় প্রশিক্ষণ সনদ হারিয়ে গেছে মর্মে উল্লেখ করে সদ্য একটা সাধারণ ডাইরী(জিডি) করেন।তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন কালশী মাটি থেকে শেরপুর আসতে তার প্রশিক্ষণ সনদ হারিয়ে গেছে। অথচ তিনি প্রানী চিকিৎসার কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেনি।জানতে চাইলে, শেরপুর উপজেলা সরকারি প্রানীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রধান প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: রায়হান পিএএ বলেন,ইতি মধ্যে আমারা কয়েক জন ভুয়া প্রানী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।ভুয়া প্রানী চিকিৎসক নির্মূলে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সঠিক তথ্য প্রমাণ থাকলে শেরপুরের সকল ভুয়া প্রানী চিকিৎসকদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং অপরাধ প্রমানিত হলে শাস্তি মূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ ফিরোজুর রহমান মোবাইল: 01947314055