ঢাকাMonday , 3 March 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি বার্তা
  7. খেলাধুলা
  8. খোলা কলাম
  9. গনমাধ্যাম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. দৈনন্দিন আইন
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নন্দীগ্রামে আলুর বাম্পার ফলন, বাজার মূল্যে খুশি নয় কৃষকরা

Nadigram
March 3, 2025 12:16 pm
Link Copied!

নন্দীগ্রাম( বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আলুর স্বাভাবিক বাজার মূল্যে খুশি নয় কৃষকরা। নন্দীগ্রাম উপজেলাকে খাদ্য শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। এ উপজেলার ফসলি জমির মাটিতে অনেক উর্বরতা রয়েছে। যে কারণে বছরে ৩ বার ধানের আবাদের পাশাপাশি ১ বার রবিশস্যর আবাদ করা সম্ভব হয়। তাই আবাদি জমি পতিত রাখতে চায় না এ উপজেলার কৃষকরা। রবিশস্য আবাদ শেষে বোরো, আউশ ও আমন ধানের আবাদ করে থাকে এ উপজেলার কৃষকরা। এবারো এর ব্যত্যয় হয়নি। এ উপজেলায় উৎপাদিত ফসলের বেশিরভাগ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কৃষকরা ধান আর রবিশস্য খাবারের জন্য রাখার পরে বেশিরভাগ অংশ বিক্রয় করে উৎপাদন ব্যয় উঠানোর পরেও অবশিষ্ট লভ্যাংশ কৃষকদের গচ্ছিত থেকে যায়। যা সারা বছর বিভিন্নভাবে ব্যয় করে থাকে। নন্দীগ্রাম উপজেলা ধান ও রবিশস্য উৎপাদনে পরিপূর্ণ বলেই শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য কৃষকরা। 

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি রবি মৌসুমী এ উপজেলার কৃষকরা ৫০০৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছে। এর মধ্যে কার্ডিনাল ৫৪৫ হেক্টর, এস্টারিক্স ৮১৫ হেক্টর, ডায়মন্ড ২৬৭০ হেক্টর, পাকড়ি ৯৬৫ হেক্টর ও ক্যারেজ ১০ হেক্টর। ইতোমধ্যেই আলুর আবাদি জমি থেকে আলু উঠানো শুরু হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই আলু উঠানোর কাজ শেষ হবে। এরপর আলুর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হবে। নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের বীরপলি গ্রামের আলু চাষি রুহুল আমিন প্রতি বছর ১০০ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করে থাকে, এবারো তাই করেছে। তিনি বলেন, এবারো আলুর ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু, বর্তমান আলুর বাজার মূল্যে আমি হতাশ। অন্যান্য কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে আলুর আবাদে ৩৮-৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে এবার ১০০-১১০ মন হারে আলুর ফলন হলেও বর্তমানে আলুর পাইকারি বাজারমূল্য ১৩-১৪ টাকা কেজি। এই দরে আলু বিক্রয় করলে লাভ হবে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, এবারো নন্দীগ্রাম উপজেলায় আলুর ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ১০০-১১০ মন হারে আলুর ফলন হয়েছে। যা বাম্পার ফলন হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। বর্তমানে আলুর বাজার মূল্য অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। তবুও কৃষকরা আলুর আবাদ করে লাভবান হবে। আমরা সবধরনের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকভাবে কাজ করেই আসছি। আর এ উপজেলার কৃষকরাও এখন সবধরনের ফসল উৎপাদনে পারদর্শী হয়ে উঠেছে। এরপরেও আমরা ভালোভাবে ফসল উৎপাদনে পরামর্শ-সহযোগিতা করি। এখন পুরোদমে আলু উঠানোর কাজ চলছে। আলুর আবাদি জমিতে আবার বোরো ধানের আবাদ হবে। বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমাদের মাঠে আরো বেশি সময় দিতে হচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।