বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌরসভার অর্থায়নে ঘর পেয়ে অবশেষে হাসি ফুটেছে এলিনার মুখে। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পিতা মাতা হারা এই এলিনা বেগমের হাতে মেয়রের নিজস্ব ও পৌরসভার অর্থায়নে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান। বুধবার (২২ নভেম্বর) এলিনার হাতে ওই ঘরটির উদ্বোধন শেষে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।জানা গেছে,এলিনা বেগম উচ্চ শিক্ষিত হয়েও ভাগ্যর নির্মম পরিহাসে আজ বড় অসহায়। স্বামী থেকেও না থাকা, থাকেন ছোট্ট একটি সন্তান নিয়ে অন্যের বসত বাড়িতে। উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার কারনে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেও নিজের আত্মসম্মানে বাধা দেয় এলিনার, কিন্তু একটি ছেলে সন্তানের খরচ ও নিজের পেট চালাতে লজ্জা সরমের কথা চিন্তা না করে অন্যের বাড়িতে কাজ করে এলিনা। এলিনার এমন দুঃখ দুর্দশার খবর শুনে ছুটে যান পৌর মেয়র মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পৌরসভা ও মেয়রের নিজ অর্থায়ন মিলে অন্যের জমিতেই উচ্চ শিক্ষিত এলিনাকে অর্ধলক্ষ টাকায় এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনসেড ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন, যা পেয়ে অনেক আনন্দিত এলিনা। নব-নির্মিতি এই ঘরে সন্তানকে নিয়ে উঠে আনন্দে আত্মহারা হয়ে এলিনা বলেন, উচ্চ শিক্ষিত হলেও ভাগ্যের কারনে আজ আমি বড় অসহায় বাবা মা নেই, স্বামী থেকে ও নেই সন্তানকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ কর্ম করে পেটে ভাত দিতে হয়। আমার থাকার কোন জায়গা জমি নেই মাথা গোঁজার মত কোন ঠাঁই ছিলোনা কিন্তু আমাদের মানবিক মেয়র থাকার জন্য আমাকে একটি ঘর উপহার দিয়েছে ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি, সারাদিন কাজকর্ম করে রাতে এসে নিজ বাড়িতে থাকতে পারবো। এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ,প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম,সার্ভেয়ার সারোয়ার জাহান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাইদ মিলন প্রমুখ। পৌর মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, এলিনা অত্যান্ত মেধাবী গরিব অসহায় একটি মেয়ে তার থাকার মত কোন ঘর ছিলোনা আমার নিজ তহবিল ও পৌরসভার সামান্য কিছু অর্থায়নে এলিনাকে একটি এক কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেড ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

